যে মানুষগুলোর যোগাযোগ দক্ষতা ভালো তারা ব্যক্তিগত ও কর্মজীবন উভয় ক্ষেত্রে সফল। মানুষ সামাজিক জীব তাই সামাজিক যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ । নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রে আপনার মানুষ চালানোর দক্ষতা খুই গুরুতপূর্ন । এক্ষেত্রে যার যোগাযোগ দক্ষতা যত ভালো সে মানুষ পরিচালনায় ততই দক্ষ। যদিও অনেকেই মনে করে যোগাযোগ দক্ষতায় শেখার কিছু নেই। যদি আপনি যোগাযোগ অদক্ষ হন, তাহলে আপনি ভালো নেতা নন। আপনার ব্যাক্তিগত সম্পর্ক থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক আপনি সঙ্গী হীন হয়ে পড়বেন।
১. Mobile দেখা বা Facebooking করা।
সামাজিক যোগাযোগ সাথে আমাদের আত্মার সম্পর্ক যেরকম হয়েছে তাতে আমরা ভুলেই যাই যে আমরা কারো সাথে কথা বলছি। আমি বিষয়টি একেবারেই মেনে নিতে পারিনা যে আমার সামনের বসা মানুষটি আমার কথা শুনছে আবার কিন্তুছে না।
২.সরাসরি সমালোচনা করা।
একজনের কাছে আরেকজনের সমালোচন করা । মিটিং এ কোন কাজের সমালোচনা করা। ফিডব্যাক দেয়া আর সমালোচনা ভিন্ন জিনিস । আপনি কোন কাজের ইম্প্রুভমেন্টের জন্য ফিডব্যাক দিতে পারবেন কিন্তু সরাসরি এ্যাটাক করে কথা বলা যাবেনা । এক্ষেত্রে ফিড দেয়ার সময় একটি নেগিটিভ বলার আগে ওই কাজের কমপক্ষে তিনটি পজিটিভ বা ভালো দিক বলে নিন।
৩. নেতিবাচক কথা বলা।
কিছু মানুষ আছেন যারা যে দেখা হলেই নেতিবাচক বলা শুরু করেন। আমরা ধরেই নেই অফিসের কলিগদের ব্যাপারে যিনি বা যারা আজ আমার কাছে নেতিবাচক বলছেন কালকে যে তারা আমার ব্যাপারে বলবেনা তার গ্যারান্টি আছে।
৪. যোগাযোগের সময় কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে কাজ করা।
সামনে একজন বসে আছেন আপনি তার সাথে মাঝে মাঝে কথা বলছেন আবার কম্পিইটারে বা
ফইলে আপনার কাজ করছেন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটি একটি প্রতিবন্ধকতা।
৫. মোবাইলে চিৎকার করা ।
কোন বিষয় নিয়ে আপনি বিরক্ত বা রাগান্বিত থাকতেই পারেন তাই বলে মোবাইল ফোনে চিৎকার করবেন না। অফিসে থাকা কালিন তো অবশ্যই না।
৬. উচ্চ স্বরে কথা বলা ।
অনেক অফিসে একই রুমে অনেক কলিগ বসেন। এমন যায়গায় গিয়ে দুজন মানুষ কথা বলার সময় উচ্চস্বরে কথা বলা যাবেনা । আবার বাহিরে খেতে গেলেন এমনভাবে কথা বলছেন অন্যদেও বিরক্ত করছেন। এমনটি করা যাবেনা।
৭. অপর প্রান্তের কথার বিঘন ঘটানো ।
আমাদের একটা বদঅভ্যাস আছে একজন কথা বলতে থাকলে অন্যজন তার কথাকে কেড়ে নেয়। এাঁ কখনোই করা উচিত না, বরং তাকে প্রথমে শেষ করতে দেয়া উচিত। কারো মুখের কথা শেষ না হতেই আপনি বলা শুরু করবেন না। আপনি যার সাথে কথা বলছেন , আগে মনোযোগ দিয়ে শুনুন। অপর পাশের মানুষটির কথায় বিঘন না ঘটিয়ে হার কথায় মনোযোগী হন ও তথ্য সংগ্রহ করুন,যা পরবর্তীতে আপনার কথা বলাটা সহজ করে দিবে।
৮. চেয়ারে অতিমাত্রায় হেলান দিয়ে কথা বলা।
আপনি যদি কারো সঙ্গে কথাবার্তা বলার সময় বসে থাকতে থাকতে চেয়ারে আরাম কওে পেছনে হেলান দেন বা হেলে পড়েন তাহলে তার সঙ্গে কথাবার্তা শেষ হয়েছে কিংবা আপনি আর আগ্রহী নন এমনটাই বোঝায় তাই কারো সঙ্গে কথাবার্তা বলাকে যদি গুরুত্ব দিতে চান তাহলে সোজা হয়ে বসুন কিংবা সামনে ঝুকেঁ থাকুন।
৯. ফোনে পারসনাল বিষয় নিয়ে কথা বলা।
আপনি একজনের সাথে মিটিং এ আছেন এমন সময় বাসা থেকে ফোন আসতেই পাওে তাই বলে তখনই সব বলে দিতে হবে এমনটি নয়। সময় নিন। বলুন আপনি মিটিং এ আছেন পরে ফোন দিবেন। যদি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত দিতেই হয় তাহলে সামনের মানুষটির কাছ থেকে একটু সময় চেয়ে নিয়ে অন্য রুমে বা একটু দুরে গিয়ে কথা শেষ করুন।
১০. অতিরিক্ত প্রশ্ন করা।
মিটিং এ প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন । অতিরিক্ত প্রশ্ন করবেন না । গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করুন, কম বা অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
১১. অতিরিক্ত মাথা ঝাঁকানো ।
কথা বার্তার সময় সীমিত পর্যায়ে মাথা ঝাঁকানো যেতে পারে। কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত মাথা ঝাঁকান তাহলে তা ক্ষতিকর হতে পারে। এতে আপনার উত্তেজনা ভাবটি প্রকাশ হয়ে যেতে পারে।
১২. পা তুলে বসা।
কারো সাথে কথা বলার সময় আপনি পা তুলে চেয়ার বসতে পারবেন না। আপনার দেহের সঙ্গে পাও সোজা অবস্থায় থাকবে । কিন্তু আপনি যদি নাচের ভঙ্গিমায় পা ভুল দিকে নির্দেশ করেন তা দৃষ্টিকটু হতে পারে।
১৩.অতি বিনয়ী হওয়া।
অতি বিনয়ী হয়ে বারবার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন না। বিনয়ী হওয়া উচিৎ, কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল না । ভাল করে লক্ষ্য করে দেখবেন, আপনি যখন কোন বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হন বা হীনমন্যতায় ভুগতে থাকেন তখনই কিন্তু বারবার ”ধন্যবাদ” দিতে থাকেন। এটা খারাপ লক্ষন।
১৪.পকেটে হাত রাখা ।
পকেটে হাত রেখে কথা বলা কোন স্টাইল নয়। এটা আপনার স্মার্টনেস বাড়ায় না বরং আপনার অহংবোধ প্রকাশ করে। অনেকেই অভ্যাসবশত হাত পকেটে রাখেন। তবে এ অভ্যাস সব সময়ের জন্য সময়ের জন্য হয়ে গেলে তা ক্ষতিকর। অনেকে এটাকে অভদ্রতা হিসেবে দেখেন।
Comments
Post a Comment