ইস কী বুদ্ধি ! একদম বাবার মত হয়েছে
আমাদের আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে প্রায়ই এই একটা কথা শুনতে পাই। আর শুনবেই বা না কেন, ওর মত অতীক্ষণবুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মানুষ আমি আমার জীবনে কমই দেথেছি। তবে, ওর আত্মীয়স্বজনের এই উক্তিটার সাথে আমি কখনোই একমত পোষন করতাম না। আমি বিশস করি, জেনেটিক কিছু ব্যাপার থাকলেও এর পাশাপাশি অবশ্যই কিছু কৌশল রয়েছে, কিছু অভ্যাস, কিছু অনুশীলন রয়েছে যার মাধ্যমে মানুষ তার বুদ্ধিমত্তাকে ঝালাই করে দিতে পারে।
১. নতুন কিছু করুন।
রেগুলার রুটিনটা থেকে একটু বের হোন। নতুন কিছু করুন। নতুন একটা বই পড়–ন কিংবা নতুন কোনো জায়গা থেকে ঘুরে আসুন। সারাজীবন যদি নিজেকে একটা গন্ডি কিংবা পাঠ্যবইয়ের মাঝে আবদ্ধ করে রাখেন, তাহলে আপনার জ্ঞান ঐটুকু পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে।
২. অলস সময়কে কাজে লাগান ।
আমরা না চাইতেও কিন্তু আমাদেরকে প্রতিদিন পার করতে হয় অনেক অলস সময়। যেমন, বন্দুদের সাখে আড্ডা দিয়ে , রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামে আটকে থেকে, লাইনে দাড়িয়ে , অপেক্ষা করে ,ফেসবুকিং এবং ইউটুবে ইত্যাদি। এই সময়টা আমরা আশেপাশের মানুষের সাথে গল্প করে কিংবা আপনার মূল্য ভান সময় নষ্ট করবেণ ।
৩. প্রতিযোগিতামূরক খেলা খেলুন।
প্রতিযোগিতা আছে ঐধরণের খেলাদোলা খেলুন। যেমন: দাবা । এছাড়াও বিজনেস কম্পিটিশন, আইডিয়া কম্পিটিশন এর মত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করুন।
৪. ডায়রী লিখুন।
মার্কিন মনোবিজ্ঞানী ক্যাথরিন এম কক্রা, আইজ্যাক নিউটন, টমাস আলভা এডিসন এবং আইন্সটাইনের তম ৩০০ প্রতিভাবন ব্যাক্তির অভ্যাস নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। এই পড়াশোনায় সে যেই সাধারণ বৈশিষ্ট্যটি সবার মাঝেই পরীক্ষল করেছেন তা হচ্ছে, তারা সবাই নিয়মিত প্রতিদিন ডায়রী লিখতেন।
৫. অনেক বই পড়ুন।
বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। ফিকশনাল হোক আর নন ফিকশনাল, যেকোনো বইয়েই রয়েছে শেখার মত অনেই কিছু ।
৬. জ্ঞান বিতরণ করুণ।
নিজে যা সম্পর্কে ভাল জানেন, তা অন্যকেও বোঝান। এতে করে আপনি যা জানেন, তা আসলেই কতটুকু ভাল জানেন তা বুঝতে পারবেন।
৭. ছোটখাট বিতর্ক করুন।
আপনি যদি একজন প্রফেশনাল বিতার্কিক হোন তবে তা আপনার বুদ্ধিমত্তার জন্য খুবই উপকারী কিন্তু তা না হলেও সমস্যা নেই কারণ ছোটখাট কিছু বিতর্ক মূলোক প্রতিযোগিতা অংশ গ্রহন কেরতে । এতে করে আপনার মস্তিস্ক তাড়াতাড়ি এবং যৌক্তিকভাবে চিন্তা করতে সক্ষম হবে ।
৮. পরোনো জিনিষগুলোই নতুন ভাবে করুন।
আগে যা করতেন তাই করুন কিন্তু ধরণটা একটু পরির্বতন করে নিন। যেমন ধরে নিন, আপনি ডান দিয়ে লিখেন , আজকে একটু বামহাত দিয়ে লিখতে চেষ্টা করে দেখুন।
৯. নতুন নতুন মানুষের সাথে মিশুন।
প্রত্যেকটা মানুষেন মাঝেই রয়েছে একেকটা জ্ঞানভান্ডার তাই কখনো মনে করবেন না যে আপনি যে কয়েকটা মানুষকে জানেন, তাদেও নিয়েই আপনি খুশি। পুরোনো বন্দুরা থাকুক সাথে নতুন বন্ধু করুন।কারন আপনি নিজেও জানেন না কোন মানুষটা থেকে আপনি কোন নতুন জিনিষটা জেনে যেতে পারেন না আপনি আগে কখনো তা চিন্তাও করেননি।
১০. দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস গড়ে তুলুন।
পর্যাপ্ত ঘুম, প্রতিদিন বাদামজাতীয় এবং ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন, শরীরচর্চা কিংবা অন্তত ৩০ মিনিট হাটা , এমন কিছু অভ্যাস আপনার মস্তিস্কেও কর্মক্ষমতাকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দিবে।
Comments
Post a Comment