এ কারণগুলোর কয়টি আপনাকে পিছেয়ে রাখছে জীবনের সবচেয়ে বড় ট্রাজিডি হলো পুরুষ এবং নারী প্রাণপণে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। আর সফল মানুষদের চেয়ে ব্যর্থদের সংখ্যাই বেশি। আমি হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি যাদের মধ্যে শতকরা ৯৮ ভাগ নারী-পুরুষ বলেছে তারা ব্যর্থ হয়েছে। এ সভ্যতা এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন কিছু গলদ রয়েছে যার জন্য ৯৮ শতাংশ মানুষকে ব্যর্থতার স্বাদ পেতে হয়। তবে আমি এ খানে পৃথিবীর ভুল এবং সঠিক নিয়ে কথা বলতে বসিনি। আমি বিশ্লেষণ করে দেখেছি মানুষের ব্যর্থতার পেছনে অন্তত ২০টি কারণ রয়েছে । দেখুন আপনার সফলতা এবং ব্যর্থতার মাঝে এসব কারণ গুলো মিলে কী না?
১. জীবনে সুসংজ্ঞায়িত উদ্দেশ্যের অভাবঃ যে মানুষের জীবনে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নেই তার জীবনে সাফল্যের আশা করা বাতুলতা মাত্র। আমি বিশ্লেষেণ করে দেখেছি একশো জন মানুষের মধ্যে আটানব্বই জনেরই জীবনে কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বা উদ্দের্শ ছিল না ।
২. মাঝারি মানের ওপর উচ্চাকাঙক্ষার লক্ষ্য করার অভাবঃ যে মানুয় মাঝারি মানের ওপরে নিজের উচ্চাকাঙক্ষা লক্ষ্য নির্দিষ্ট করতে পারে না তার কাছ থেকে আামরা বিশেষ কিছু আশা করতে পারি না।
৩. অপর্যাপ্ত শিক্ষাঃ অপর্যাপ্ত শিক্ষা সাফল্যের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করত পারে বটে তবে এ অসুবিধাটি সহজেই জয় করা যায়। অভিজ্ঞতা বলে সেরা শিক্ষিত মানুষদের বেশিরভাগই স্বশিক্ষিত।
৪. আত্ম-শৃঙ্খলার অভাবঃ শৃঙ্খলা আসে আত্ম-নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। এর মানে হলো একজন মানুষকে সমস্ত নেতিবাচক দোষগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে জানতে হবে। আশাপাশ নিয়ন্ত্রণ করার আগে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা কিন্তু খুবই কঠিন কাজ। নিজেকে জয় করতে না পারলে অন্যরা আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করবে। আয়নায় সামনে দাঁড়ালেই আপনি চিনতে পারবেন কে আপনার সবচেয়ে বড় বন্ধু আর কে প্রধানতম শত্রƒ।
৫. দুর্বল স্বাস্থ্যঃ সুস্বাস্থ্য ছাড়া কেউ সাফল্য উপভোগ করতে পারে না। দুর্বল স্বাস্থ্যের জন্য নানা কারণ দায়ী । যেমনঃ
ক. স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী নয় সেরকম খাদ্য অতিরিক্ত গ্রহণ ।
খ. সব সময় নেতিবাচক চিন্তা।
গ. সঠিক শারীরিক অনুশীলনের অভাব।
ঘ. তাজা বাতাস গ্রহণ থেকে বঞ্চিত থাকা।
৬. শৈশবে প্রতিকূল পরিবেশের মাঝে বড় হওয়াঃ যেসব মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেশি থাকে, দেখা যায় তাদের বেশির ভাগেরই শৈশব কেটেছে প্রতিকূল, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মাঝে। আর তারা ছোটবেলায় ভালো বন্ধুও পায়নি।
৭. দীর্ঘসূত্রতা বা কোনো কাজে গড়িমসি করাঃ এটি ব্যর্থতার অন্যতম কারণ। কাজে গড়িমসি করতে গিয়ে অনেকেই সফল হওয়ার সুযোগ হারায়। আমরা অনেকেই ব্যর্থ হই কারণ আমরা কিছু শুরু করার জন্য কবে সঠিক সময়টি আসবে সেজন্য হা করে বসে থাকি। অপেক্ষা করবেন না।
৮. ধৈর্যের অভাবঃ আমরা অনেকেই শুরু করি মহা উৎসাহে, কিন্তু শেষটা আর করতে পারি না ধৈর্যের অভাবে। ধৈর্যের বিকল্প কিছু নেই।
৯. নেতিবাচক ব্যক্তিত্বঃ নেতিবাচক ব্যক্তিত্বের অধিকারীরা কখনো সফল হতে পারে না। যারা মানুষের সঙ্গে সদাচরণ করে না তারা ব্যর্থ মানুষ। সফলতা আসে শক্তি মাঝ দিয়ে । আর এ শক্তি মেলে অন্যদেরকে সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে। নেতিবাচক ব্যক্তিত্বরা কখনো কারো জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় না।
১০. সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার অভাবঃ সফল মানুষরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সেগুলো প্রয়োজনে পরিবর্তনও করেন তবে তা ধারে সুস্থে । যারা ব্যর্থ মানুষ তারা সিদ্ধান্ত নেয় অতি মন্থর গতিতে এবং তা ঘন ঘন বদলায়।
১১. ভয়ঃ ভয় নিয়ে সামনের এক অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। ভয়কে জয় করতে না পারলে কাজে সাফল্য আসবে না।
১২. ভুল বিবাহঃ জীবন সঙ্গী বাছাইয়ে ভুল করলেও মানুষ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। বিয়ের বন্ধন দু’জন মানুষকে খুব কাছে নিয়ে আসে । কিন্তু এ বন্ধনে যদি সুর ছন্দ না থাকে তাহলে ব্যর্থতা তো আসবেই। ভুল বিবাহ সংসারে ডেকে আনে দুঃখ-দুর্দশা এবং অসুখী পরিবেশ, এটি সমন্ত আকাঙক্ষা ধ্বংস করে দিতে পারে।
১৩. অতিরিক্ত সতর্কতাঃ যে লোক জীবনে ঝুঁকি নিতে পারে না তাকে দিয়ে কিছুই হবে না। সব কিছুতেই অতিরিক্ত সতর্ক থাকা সুলক্ষণ নয়। জীবনের প্রতি পদক্ষেপে ঝুকি থাকবেই। একে মেনে নিয়েই এগোতে হবে।
১৪. ব্যবসায়ে ভুল সহযোগী বাছাইঃ ব্যবসায়ে মার খাওয়ার জন্য এটি বিরাটভাবে দায়ী । এমন কোনো মানুষকে পার্টনার করা উচিত যে হতে পার আপনার জন্য অনুপ্রেরণা, যে হাে বুদ্ধিমান এবং সফল একজন মানুষ । আপনার সমকক্ষ হতে পারবে এমন কাউকেই ব্যবসায়ী সহযোগী হিসেবে বাছাই করুন।
১৫. কুসংস্কারঃ কুসংস্কার আসলে ভয়েরই একটি রূপ। এটি অজ্ঞতারও পরিচয় বহন করে । যারা সফল হয় তাদের মন থাকে কুসংস্কারমুক্ত এবং তারা কোনো কিছুতে ভয় পায় না।
১৬. ভুল পেশা বাছাইঃ যে লোক যে কাজ পছন্দ করে না সেই পেশা যদি গড়ে তুলতে চায় তাহলে সে সফল হয় না। আপনাকে এমন কোনো পেশা বেছে নিতে হবে যাতে মনপ্রাণ লাগিয়ে কাপ করতে পারেন।
১৭. কাজে অমনোযোগঃ সবজান্তরা এমন ভাব করে যেন তারা সব জানে এবং সব কাজ পারে। আপনি বরং শুধু একটি কাজে আপনার সকল মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করুন।
১৮. অহেতুক খরচঃ যাদের অহেতুক খরচ করার প্রবণতা রয়েছে তারা জীবনে সফল হতে পারে না। যা আয় করবেন তার কিছুটা সঞ্চয়ের চেষ্টা করুন।
১৯. নিজের চেষ্টায় যে ক্ষমতা অর্জিত হয় নাঃ সম্পদশালী বাবা-মায়ের সন্তানেরা এই ক্যাটাগরিভুক্ত। তারা উত্তরাধিকার সূত্রে টাকা-পয়সা পেয়ে তা যথেচ্ছভাবে উড়িয়ে দেয়। যারা কোনোরকম পরিশ্রম ছাড়াই ক্ষমতা হাতে পেয়ে যায় তারা প্রায়ই অসফল হয়।
২০. অন্যদেরকে সহযোগিতা করার মনোভাবের অভারঃ বহু লোক তাদের জীবনে অবস্থান এবং বড় বড় সুযোগ হারিয়ে ফেলে নিজেদের দোষেই । কারণ তাদের ভেতরে অন্যদেরকে সহযোগিতা করার মনোভাবের বড্ড অভাব আছে।
১৪. ব্যবসায়ে ভুল সহযোগী বাছাইঃ ব্যবসায়ে মার খাওয়ার জন্য এটি বিরাটভাবে দায়ী । এমন কোনো মানুষকে পার্টনার করা উচিত যে হতে পার আপনার জন্য অনুপ্রেরণা, যে হাে বুদ্ধিমান এবং সফল একজন মানুষ । আপনার সমকক্ষ হতে পারবে এমন কাউকেই ব্যবসায়ী সহযোগী হিসেবে বাছাই করুন।
১৫. কুসংস্কারঃ কুসংস্কার আসলে ভয়েরই একটি রূপ। এটি অজ্ঞতারও পরিচয় বহন করে । যারা সফল হয় তাদের মন থাকে কুসংস্কারমুক্ত এবং তারা কোনো কিছুতে ভয় পায় না।
১৬. ভুল পেশা বাছাইঃ যে লোক যে কাজ পছন্দ করে না সেই পেশা যদি গড়ে তুলতে চায় তাহলে সে সফল হয় না। আপনাকে এমন কোনো পেশা বেছে নিতে হবে যাতে মনপ্রাণ লাগিয়ে কাপ করতে পারেন।
১৭. কাজে অমনোযোগঃ সবজান্তরা এমন ভাব করে যেন তারা সব জানে এবং সব কাজ পারে। আপনি বরং শুধু একটি কাজে আপনার সকল মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করুন।
১৮. অহেতুক খরচঃ যাদের অহেতুক খরচ করার প্রবণতা রয়েছে তারা জীবনে সফল হতে পারে না। যা আয় করবেন তার কিছুটা সঞ্চয়ের চেষ্টা করুন।
১৯. নিজের চেষ্টায় যে ক্ষমতা অর্জিত হয় নাঃ সম্পদশালী বাবা-মায়ের সন্তানেরা এই ক্যাটাগরিভুক্ত। তারা উত্তরাধিকার সূত্রে টাকা-পয়সা পেয়ে তা যথেচ্ছভাবে উড়িয়ে দেয়। যারা কোনোরকম পরিশ্রম ছাড়াই ক্ষমতা হাতে পেয়ে যায় তারা প্রায়ই অসফল হয়।
২০. অন্যদেরকে সহযোগিতা করার মনোভাবের অভারঃ বহু লোক তাদের জীবনে অবস্থান এবং বড় বড় সুযোগ হারিয়ে ফেলে নিজেদের দোষেই । কারণ তাদের ভেতরে অন্যদেরকে সহযোগিতা করার মনোভাবের বড্ড অভাব আছে।
Comments
Post a Comment