আমাদের বাংলাদেশে যারা Cyberbullying এর শিকার হচ্ছেন তাদের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগই নারী। সবছেয়ে ভীতিকর ব্যাপার হলো, এদের বয়স ১৪ থেকে ৩৫ বছর। এমনকি শিশুরাও এই ঝুকির বাইরে নয়। বৃহৎ পরিসরে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির দরুণ অনেক জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এই Cyberbullying এর কারণে। প্রযুক্তিউত্তরোত্তর উন্নয়নের ফলে যোগাযোগ প্রতি নিয়ত সহজ লভ্য হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু দুষ্ট চক্রের বিকৃত মানসিকতার কারণে প্রযুক্তি ব্যবহারের চরম মূল্য দিতে হচ্ছে আমাদের।
Cyberbullying কী?
এক কথায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে কারো উপর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বা নাশকতা চালানোকে Cyberbullying বলা হয়। যারা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে গোপনীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো ব্যবহার করতে পারে। হ্যাকারদের মধ্যে যারা নিজেদের এই ক্ষমতাটি অন্যের ক্ষতি করার জন্য ব্যবহার করে থেকে তারাই মুলত Cyberbullying এর জন্য দায়ী।
আমরা কী বাবে প্রাতি নিয়ত Cyberbullying এর শিকার হচ্ছি।
বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর কারণে সারা বিশ্বের সাথে তথ্য আদান প্রদান করে থাকি। আমাদের এই তথ্যগুলো যেহেতু অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম Email, Computer, Mobile ফোন দিয়ে আদান প্রদানে জড়িত , তাই হ্যাকাররা হয়রানির জন্য এগুলোকেই ব্যবহার করে থাকে। অন্যদিকে এদের শিকার নারী ও শিশুরা হলেও, এখন সব বয়সের এবং সব পেশার লোকেরই শিকার হচ্ছে।
Cyberbullying এর শিকার হলে সমাধানে করনীয়।
অভিভাবক দের সাথে শেয়ার করা এবং পরামর্শ করা।
প্রিয় শিক্ষক, ভাই বোন, বাবা মা অথবা এমন কারো সাথে বিষয়টি শেয়ার করুন যে আপনার দুর্বলতার সুযোগ নেবে না বলে আপনি দৃঢ়ভাবে বিশ্সার করেন। আবেগ প্রবণ না হয়ে আগে আপনার অবস্থার তুলে ধরুন। এতে সামাজিক ভাবে আপনি কিছুটা সহযোগিতা পাবেন।
সকল নেতিবাচকতা অগ্রাহ্য করা।
অপরিচিত নাম্বার থেকে ম্যাসেজ , ফোন অথবা অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অনাকক্সিক্ষত কমেন্ট,ম্যাসেজ আপনার বিরক্তির কারণ হতে পারে। এমনকি হয়ত আপনার ব্যাপারে কোন ভুল তথ্য কে কেন্দ্র করে আপনার কাছের মানুষের কাছ থেকেও কথা শুনতে হতে পারে। ব্যাপারটাকে গভীরভাবে না দেখে না দেখে এড়িয়ে যান। কেননা আপনি পাত্তা দিলেই উত্যক্ত কারীর উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে।
প্রমাণ রাখা
অনলাইন অথবা ফোন যে মাধ্যমেই বুলিং এর শিকার হোক না কেন চেষ্টা করুন যে কোনো ভাবেই তার একটা অফলাইন কপি রাখতে । পরবর্তী আইনী সহায়তা নেবার সময় এগুলো প্রমাণ হিসেবে আপনার কাজে লাগবে।
রিপোর্ট করা ।
প্রতিটি ওয়েবসাইটেরই রিপোটিং পদ্বতি আছে। সেগুলো ব্যবহার কওে কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলুন। এতে বুলিং কন্টেন্ট মুছে যাওয়ার পাশাপাশি অপরাধীও সেই সাইট থেকে চিরতরে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে।
আত্মবিশ্বাসের সাথে ইতিবাচক প্রতিত্রিুয়া ।
এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশী দরকার । প্রায় দেখা যায়, Cyberbullying এর শিকার ব্যক্তি জনসম্মুখে নিজেকে প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন। তা না করে বরং প্রতিটি সমোলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সাবলীল ভাবে উত্তর দিন।এখানে যেহেতু আপনি কোন দোষ করেন নাই সেহেতু নিজেকে লুকিয়ে রাখার কোন অর্থ নেই।
প্রতিকার অপেক্ষা প্রতিরোধ উত্তম।
Cyberbullying এর শিকার হয়ে আপনার নেয়া সিদ্ধান্ত গুলো পরবর্তীতে Cyberbullying এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের জম্ম দিতে পারে। তাই নিজেকে গুটিয়ে না রেখে নেতিবাচকতাগুলো উপেক্ষা করে আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজের স্বপক্ষে কাজ করুন।
সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করুন।
Cyberbullying এর সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি আপনার নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়। হতাশ না হয়ে নিজেকে নিজের কাজে ব্যস্থ বা পরিবারের সকলের সাথে থাকুন। বিশেষত সৃজনশীল কাজের দিকে মনযোগ বা বই পড়তে পারেন।
আমরা সবাই সচেতন হই।
ReplyDelete